রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালানো পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। তাকে জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান চালানোসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের সাবেক এ ওসিকে পালাতে সহায়তাসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিবউল্লাহকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া একই থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে থানার মধ্যে থেকে হত্যা মামলার আসামি শাহ আলম কীভাবে পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে থানা থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত জুলাই আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন মো. শাহ আলম গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ায় ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয় তাকে। তারপর থেকে তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. লিটন শরীফ থানার সাবেক ওসি শাহ আলমকে গত বুধবার গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এরপর শাহ আলমকে রাতে রাখা হয় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার বর্তমান ওসির কক্ষে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন তাকে ঢাকার আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিলো, ঠিক তখনি শাহ আলম কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মো.সাজ্জাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মো. শাহ আলম পালিয়েছেন উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শকের (অপারেশনস) কক্ষ থেকে। এ সময় থানার বর্তমান ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post