আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন । আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সুস্পষ্ট সত্য রাজাধিরাজ আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ।
দরুদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক চূড়ান্ত নবী মুহাম্মদ সাঃ, তাঁর পরিবার রাঃ, তাঁর সাথীগণ রাঃ, তাবেঈনগণ রাঃ সহ সকল মুসলমানদের উপর ।
হে মানবজাতি ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো । যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন । যাতে তোমরা তাক্ওয়া অর্জন করতে পারো ।”
সূরা আল বাক্বারাহ ২১
হে ঈমানদারগণ ! মনে রেখো যে, আল্লাহ হলেন আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা । তিনি আমাদের রব । তিনি আমাদের রিজিকদাতা । তিনিই আমাদের সবকিছু ।
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হলেন আল্লাহ । যিনি ছয় দিনে আসমান জমিন সৃষ্টি করেন । অতঃপর তিনি আরশের উপর সমুন্নত হন । সবকিছুই পরিচালনা করেন ।”
সূরা ইউনুস ৩
তিনি ( আল্লাহ ) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন মায়ের গর্ভে । তিন অন্ধকার আবরণের মধ্যে দিয়ে পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি । তিনিই তোমাদের রব ।”
সূরা আয যুমার ৬
তিনি তোমাদেরকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং পবিত্র রিজিক দিয়েছেন । তিনিই তোমাদের রব । ভূমণ্ডল নভোমন্ডলের পালনকর্তা আল্লাহ কতোইনা বরকতময় !”
সূরা গাফির ৬৪
হে রসুল সাঃ বলুন ! আমি কি আল্লাহ ছাড়া কোন রব খুঁজবো ? অথচ তিনি হলেন সবকিছুর রব ।”
সূরা আল আনআম ১৬৪
তিনিই হলেন তোমাদের প্রতিপালক । তাঁরই ইবাদাত করো । তবুও কি তোমরা বুঝতে চাইবেনা ?
সূরা ইউনুস ৩
তোমাদের নিজেদের মধ্যেও আল্লাহর নিদর্শন দেখতে পাওনা ?
সূরা আয যারিয়াত ২১
নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক অনুগ্রহশীল করুণাময় ।”
সূরা আন নাহাল ১০
মহানবী সাঃ বলেছেন “ “ আল্লাহর দান অফুরন্ত । ব্যয় করলেই কমে যায়না ।
ছহীহুল বোখারি ৪৬৮৪.
ছহীহ মুসলিম ৯৯৩.
হে নবী সাঃ বলুন ! দিবারাত্র আল্লাহর কাছ থেকে তোমাদেরকে কে রক্ষা করতে পারে ?”
সূরা আল আম্বীয়া ৪২
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউই রক্ষা করতে পারবেনা ।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ আল্লাহ ঘুমান না । নিদ্রা তাঁর জন্য অশোভণীয় ।” অর্থাৎ নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা ।
ছহীহ মুসলিম ২৯৩
তিনিই আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক । প্রকৃতপক্ষে তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই । সবকিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন । অতএব তাঁর ইবাদাত করো । তিনি সবকিছুর তত্বাবধায়ক । “
সূরা আল আনআম ১০২
নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন তোমাদের প্রতিপালক ।
সূরা আল আ’রাফ ৫৪
এটা তোমাদের রবের তরফ থেকে স্পস্ট দলীল এবং ঈমানদারদের জন্য হেদায়েত ও রহমত স্বরূপ ।”
সূরা আল আ’রাফ ২০৩
দ্বীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি ।”
সূরা আল হজ্ব ৭৮
এটা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সহজ করে দেয়া হয়েছে ।”
সূরা আল বাকারা ১৭৮
তোমরা অতি দ্রুতগামী হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে । যার পরিধি আসমান ও জমিন সমান । আল্লাহ ভীরুদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ।”
সূরা আল ইমরান ১৩৩
ইয়া আল্লাহ ! আমাদেরকে তাওফিক দান করুন আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, আপনাকে স্মরণ করা ও আপনার সমীপে উত্তম ইবাদত করার উপর । “
মহানবী সাঃ বলেছেন “ নামাজের রুকতে তোমাদের রবের মাহাত্ম বর্ণনা করো ।
ছহীহ মুসলিম ৪৭৯
অনুরুপভাবে সিজদাতেও দোয়া করো ।
সুনানে আবু দাউদ ৮৭০
সাইয়্যিদুনা মুসা আঃ বলেন “ আমার সাথে আমার রব আছেন । তিনিই আমাকে পথ দেখাবেন ।”
সূরা আশ শুআরা ২৪
আল্লাহ আমার প্রতিপালক হিসেবে আমি সন্তুষ্ট ।
ছহীহ মুসলিম ৩৮৬
তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন “ আমাকে ডাকো । আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো ।”
সূরা গাফির ৬০
বান্দা যখন দুই হাত তুলে দোয়া করে, তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জাবোধ করেন ।”
সুনানে আবু দাউদ ১৪৮৮
সাহাবী উম্মে সুলাইম রাঃ বলেন “ আমি প্রিয় রসুল সাঃকে বললাম ফরজ নামাজ শেষে কিভাবে দোয়া করবো বলুন । নবীজী সাঃ বললেন “ ১০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০ বার আলহামদুলিল্লাহ, ১০ বার আল্লাহু আকবর পড়বে । অতঃপর যা খুশি আল্লাহর কাছে চাও ।”
সুনানে তিরমিজি ৪৮১
ইয়া আল্লাহ । আপনিই আমাদের রব । আপনিই আমাদের একমাত্র প্রতিপালক । আমাদের সবকিছুই একমাত্র আপনিই ।
আমাদেরকে মাফ করে দিন । সম্মানের জীবন দান করুন । সর্ব প্রকারের বিপদাপদ থেকে মুক্ত রাখুন ।
আমাদের মা বাবাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ।
Discussion about this post