মামলার আসামিরা হলেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রিজন সেলের উপপরিদর্শক (এসআই) বিভূতিভূষণ ভৌমিক, কনস্টেবল হিরো আহমেদ, কনস্টেবল সাহাব্বার (উভয় এস এ এফ শাখা কেএমপি) ও কনস্টেবল সজল।
আদালতের বিচারক মো. ফরিদুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৪ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, ১৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর মিয়াপাড়া বন্ধনের মোড়ে তার ভাগ্নি জামাই হাসানুজ্জামান আকাশ সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন দুপুরে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আকাশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও তাকে প্রিজন সেলে হস্তান্তর করে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা এসআই বিভূতিভূষণ।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচারের জন্য সকাল ১০টার দিকে তাকে জরুরি অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, রোগীর অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ। জরুরিভিত্তিতে তাকে ঢাকায় নিতে হবে।
তখন বাদী এসআইকে বলেন, আপনাদের বারবার বলা সত্ত্বেও আকাশকে প্রিজন সেলে আটকে রেখে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন, কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই বিভূতিভূষণ ও কনস্টেবলরা বাদীকে উল্লেখ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধমক দিতে থাকেন।
এজহারে বলা হয়েছে, এমন অবস্থায় বাদী তার রোগীকে তাদের জিম্মায় ফেরত চান। এ কথা শোনামাত্র এসআই উত্তেজিত হয়ে তাকে চড় মারতে থাকে। পুলিশ সদস্য সজল তার শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনা পর বাদী চিৎকার করলে তাকে বেতের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথার ডান পাশ কেটে গেলে তার মাথায় ৩টি সেলাই দেওয়া হয়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট বি এম ফারুখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য খুলনা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post