সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর । যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য । আমাদেরকে আদেশ করেছেন তাঁর এ ভূখণ্ড আবাদ করার জন্য ।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহানবী সাঃ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল ।
আল্লাহপাক বলেন “ আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদেরকে অসিয়ত করেছিলাম যেনো আল্লাহকে ভয় করে ।” সূরা আন নিসা ১৩১
হে ঈমানদারগণ ! আমাদের ধর্মের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষ্য হলো “ বংশ বৃদ্ধি করা এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা । আর এ কারণেই আল্লাহপাক আমাদেরকে একজন নারী ও পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেন । এ থেকে মানবজাতি ছড়িয়ে দেন । এ জাতির মাঝে আল্লাহর ইবাদতকারী থাকবে । দুনিয়া আবাদ করবে ।
আর আল্লাহপাক তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেন । তোমাদের স্ত্রীদের মাধ্যমে সন্তান ও নাতিপতিদের সৃষ্টি করেন ।
সূরা আন নাহাল ৭২
মহানবী সাঃ বলেন “ অধিক সন্তান ধারণে সক্ষম নারীদেরকে বিয়ে করো । আমি কেয়ামতের দিন অধিক সংখ্যক উম্মত নিয়ে গৌরব বোধ করবো ।”
সুনানে আবু দাউদ ২০৫০
এ কারণে বিয়ে করা এবং বংশ বিস্তার করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । যদি আপনার সন্তান না থাকে, আপনার মৃত্যুর পর কে আপনার জন্য দোয়া করবে ?
মহানবী সাঃ বলেন “ মানুষ মারা যাওয়ার পর তার আমল বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে ।
১. সাদাকায়ে জারিয়া । ( যেমন মসজিদ নির্মাণ ) ।
২. ইল্ম । ( যেমন কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করা এবং আমল করা ) ।
৩. সন্তানের দোয়া । যে সন্তান তাঁর মা বাবা’র মৃত্যুর পর দোয়া করে থাকে ।
ছহীহ মুসলিম ১৬৩১
প্রিয় রসুল সাঃ বলেন “ হে যুব সমাজ ! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিয়ে করতে সক্ষম, সে যেনো বিয়ে করে । বিয়ে খারাপ কাজ থেকে দৃষ্টিকে সরিয়ে রাখে এবং যৌনতা রক্ষায় সহায়ক ।”
ছহীহুল বোখারি
ছহীহ মুসলিম
তোমাদের কাছে যদি এমন কোন বিয়ের প্রস্তাব আসে, যার দ্বীন ও চরিত্রের উপর তোমরা সন্তুষ্ট, তাদের বিয়ে করো । অন্যথায় তোমরা ফিতনা ও অসংখ্য ফাসাদে পতিত হবে ।”
বলেছেন বিশ্বনবী সাঃ ।
সুনানে তিরমিজি ১০৮৪
খাওয়ানোর ভয়ে বিয়ে ত্যাগ করবেন না । মনে রাখবেন যে রিজিকের মালিক আল্লাহ ।
নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন রিজিক দাতা ।”
সূরা আয যারিয়াত ৫৮
মায়ের পেটে সন্তান আসার পর থেকেই তার রিজিক লিখে রাখা হয় ।
বিয়ের আগে শারীরিক মেডিকেল পরীক্ষা করে নেবেন পাত্র পাত্রী উভয়েই । এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ আল্লাহপাক এমন কোন রোগ নাজিল করেননি, যার ঔষধ দেননি ।”
সুনানে আবু দাউদ ৩৮৫৫
আর তাই কেউ যৌন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে চিকিৎসা নেবেন ।
যাঁর পক্ষে সম্ভব ২ ৩ / ৪ পর্যন্ত বিয়ে করবেন । এটার অনুমতি দেয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে ।
সূরা আন নিসা ৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থপতি শায়খ যায়েদ রহঃ যুব সমাজকে বিয়ের প্রতি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন । বংশ বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ প্রদান করেন । এ ব্যাপারে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ছিলেন ।
আল্লাহপাক তাঁকে জান্নাত দান করুক এবং ক্ষমা করে দিক ।
আল্লাহ ও তাঁর রসুলের সাঃ নির্দেশের উপর নারী পুরুষের কোন এখতিয়ার নেই । বরং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাঃ অবাধ্য হবে, সে সুস্পষ্ট বর্বাদ ।”
সূরা আল আহযাব ৩৬
ইয়া আল্লাহ ! আমাদের যুব সমাজকে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন । তাদেরকে বিয়ের প্রতি আকৃষ্ট করুন । তাদেরকে সাহায্য করুন ।
আমাদের মা বাবাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ।
Discussion about this post