স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান পৌরসভার কাউন্সিলর প্রার্থী। তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই হচ্ছে মাহফিল বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এ্যানি চৌধুরী ও রেজাউল করিম তাদের ভেরিফাইড পেজ থেকে পোস্ট করেন।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘লক্ষ্মীপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মেহমানকে কেন্দ্র করে মাহফিল বন্ধ! এ নিউজ আমার দৃষ্টিতে এসেছে। এই মাহফিলে আমাকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে সে সম্পর্কে আমি অবহিত ছিলাম না।
তিনি আরো লেখেন, ‘আমি মনে করি, যে বা যাদের ভুলের কারণে কোরআনের একটি পবিত্র মাহফিল বন্ধ হয়ে গেল তা সত্যিই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। যারা এই মাহফিল শোনা থেকে বঞ্চিত হলেন এর দায় কে নিবে? যে সমস্ত সম্মানিত উলামায়ে কেরাম অতিথি ছিলেন তারাও বা আমাদের সম্পর্কে কি ধারণা পোষণ করবেন? আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। তাই, নিজেদের মধ্যে এখন ভেদাভেদের সময় নয়, বরং ঐক্যের। আমি একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আজীবন লক্ষ্মীপুরের জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করে যেতে চাই। মহান আল্লাহ সহায় হোন।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটা মাহফিল বন্ধ করা হয়েছে। আমাকে দাওয়াত না করায়, এই মর্মে ফেস দ্যা পিপল ও কিছু অনলাইন পোর্টাল সত্যতা যাচাই না করে মিথ্যা নিউজ প্রচার করে। যা আমার ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুণ্ণ করেছে। এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। এই মাহফিল সম্পর্কে আমি নূন্যতম অবগত নই। ফেস দ্যা পিপল ও অন্যান্য অনলাইন পোর্টালকে অনুরোধ করছি এই নিউজ প্রত্যাহার করার জন্য।’
Discussion about this post