হাতখরচের টাকা নিয়ে মা উম্মে সালমার সঙ্গে বিরোধের জেরে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) তাঁর মাকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার র্যাব করেছেন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জয়পুরপাড়া এলাকায় ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামের চারতলা বাড়ি থেকে গত রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উম্মে সালমার লাশ উদ্ধার হয়। উম্মে সালমা দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। গ্রেপ্তার সাদ ওই মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) জানায়, সাদ মাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন এবং ঘটনাটিকে ডাকাতির প্রচেষ্টা বলে প্রচার করার জন্য আলমারিতে ভাঙচুর করেন। সোমবার রাতে তাঁকে কাহালু উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে দাবি করা হয়। র্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানান, রোববার দুপুরে দুপচাঁচিয়ার জয়পুরপাড়ায় উম্মে সালমার লাশ উদ্ধার হয়। সাদ ওই দিন মায়ের কাছে হাতখরচের টাকা চাইলে ঝগড়া হয় এবং পরে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরিকল্পনা করে ফিরে এসে মায়ের নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন।
এরপর সাদ ডাকাতির প্রচেষ্টা সাজানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে ভাঙচুর করেন। ঘটনাটি নাটকীয়ভাবে প্রতিবেশীদের সামনে প্রকাশ করার জন্য তিনি নিজেই ফ্রিজের ঢাকনা খুলে মায়ের লাশ দেখান।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উম্মে সালমার বড় ছেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।
Discussion about this post