ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডাকা বিক্ষোভ-মিছিল প্রতিরোধে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে দেখলে তাদের পুলিশের তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে নীনিগত মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আপানিধন ও ফ্যাসিবাদ নিধন কর্মসূচিতে আমরা সবাই একসাথে আছি।
রবিবার (১০ নভেম্বর) ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি রাজধানীর জিরো পয়েন্টের গণজমায়েতে সবাইকে অংশ নেওয়া আহ্বান জানান।হাসনাত আবদুল্লাহ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে হবে। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এ দেশের অফিস, আদালত, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে রয়েছে তা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ।আমাদের তা রক্ষা করতে হবে।
আমরা সতর্ক থাকার চেষ্টা করব, যেন ফ্যাসিবাদের দোসর নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাদের ওপর দায় চাপাতে না পারে। কোনো সংঘাত সৃষ্টি করতে না পারে। যদি কোনো লীগ এবং আপার এতিম সন্তানদের রাস্তাঘাটে দেখতে পান, তাদের আদর করে অতি যত্নে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন।
হাসনাত আরো বলেন, ‘গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আমরা শুনে আসছি, ‘দেখা না দিলে বন্ধু, কথা কইয়ো না’। প্লিজ আপানারা একটু দেখা দিন। আপনাদেরকে দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আপনারা একটু দেখা দেন। আপনাদেরকে আমরা একটু দেখতে চাই।
আপনারা আজ একটা মিনিটের জন্য একটু দেখা দেন।’
‘আজকের বার্তা স্পষ্ট করে রাখো, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে নীনিগত মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আপানিধন ও ফ্যাসিবাদ নিধন কর্মসূচির মধ্যে তারা সব সময় এক। আপা নিধোন ও ফ্যাসিবাদ নিধনে আমরা সবাই একসাথে আছি।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘প্রয়োজনে একটা বার আমাদেরকে দেখা দেন। আপা তোমাদেরকে এতিম করে চলে গেছেন। তোমরা কতদিন মনে হয় না খেয়ে আছে। কতদিন না জানি অবলারা রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছে। তারা টেন্ডারবাজি করতে পারছে না। চাঁদাবাজি করতে পারছে না। ক্যান্টিনে খেতে পারছে না। তাদের আমরা একটু সেবা শুশ্রূষা করতে চাই।’
Discussion about this post