বিদেশি মুদ্রাসহ জার্মান দম্পতি যাত্রীর মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসিত হলেন দুবাই টেক্সিতে কর্মরত আল আমিন হোসেন। তার বাড়ি রংপুর পীরগঞ্জে। প্রায় ৮ বছর ধরে দুবাই টেক্সিতে চাকরি করেন তিনি। গত শনিবার আবুধাবিতে এমন ঘটনার মুখোমুখি হন এই প্রবাসী।
আল আমিন জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে টেক্সিতে যাত্রী তোলেন তিনি। যাত্রী জার্মান দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান। চার যাত্রীর গন্তব্য আবুধাবির শেরাটন হোটেল।
প্রায় দেড়শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ রাতে আবুধাবির ওই হোটেলে পৌঁছেন তারা। যাত্রীদের সকল মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে আবুধাবি এয়ারপোর্ট পেরিয়ে আল রাহা মল সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় দাঁড়ান আল আমিন।
ওই সময় তার কাছে কোম্পানি থেকে ফোন আসে। গাড়ির নম্বর ও তথ্য যাচাইয়ের পর ওই যাত্রীর মানিব্যাগ হারানোর বিষয়টি তাকে জানানো হয়।
দ্রুত সময়ে গাড়ি তল্লাশি করে ড্যাশবোর্ডের নিচে মানিব্যাগ খুঁজে পান তিনি। পরে হোটেলে ফোন করে প্রাপ্তির খবর দেন। ত্রিশ মিনিটের ব্যবধানে ওই যাত্রীর কাছে বিদেশি মুদ্রা ও মূল্যবান ব্যাংক কার্ডসহ ব্যাগটি পৌঁছে দেন আল আমিন।
আল আমিন বলেন, এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। শনিবার ওই যাত্রীর ফেলে যাওয়া মানিব্যাগে চার হাজার ইউরো ছিল। এছাড়াও ডেভিড কর্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল। তার মানিব্যাগটি ফেরত দিয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সততা যেন জীবনের মূল্যবান সম্পদ। আমি অনেক খুশি যে, আমি তার আমানতকে ফেরত দিতে পেরেছি।
প্রবাসী আরও বলেন, আমি তাদের দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুবাইয়ের বিভিন্ন কিছু দেখাই। এতে তারা অনেক খুশি হয়।
পরবর্তীতে তাদের আবুধাবি নামিয়ে দেয়ার পর আমার ভাড়া হয় ৩৮১ দিরহাম। কার্ডের মাধ্যমে তারা ৪০০ দিরহাম পরিশোধ করে। পরে মানিব্যাগটি ফেরত দিয়ে এলে তারা অনেক খুশি হন। সেলফি তুলেন। এরপর তারা আমাকে আরও ১০০ ইউরো বকশিশ দেন।
সততার মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান প্রবাসী আল আমিন। আমিরাত প্রবাসীদের ভিসা জটিলতা নিরসনে অন্তবর্তী সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অন্তত মালিক পরিবর্তনের সুযোগ পেলে প্রবাসীরা ভাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে উল্লেখ করেন আল আমিন।
Discussion about this post