জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়ে পদে থাকার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রপতি। দেশের যেসব মানুষ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন, তারা এই ধরনের কথা শুনতে চায় না। ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের কোনো অধিকার নেই। কোনো অপশক্তি রাষ্ট্রপতিকে ওই পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না।’
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, অনেক পুলিশ সদস্য গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ না করে কোনো কোনো দলের হয়ে নিজেদের উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এক দল ক্ষমতায় এসে বাকি দলকে শোষণ করবে, এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য দেশের কিছু রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৬ বছর ধরে সংসদ থেকে শুরু করে প্রত্যেক জায়গায় বৈধতা দিয়েছে। কাজেই বিগত তিনটি সংসদের সব সদস্য ফ্যাসিবাদের দোসর।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে পরিষ্কার করে বলেছি, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হয়, কোনও অপশক্তি রাষ্ট্রপতিকে ওই পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না। সেজন্য গত দুদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আমরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছি। আজও একটি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর যিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে বসে আছেন তাকে সরিয়ে একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসাব। যিনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে দেশের জনগণকে তাদের প্রত্যাশার জায়গায় নিয়ে যাবেন।
Discussion about this post