আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল আলামিন । আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন উপাস্য নেই । তিনি হলেন ভালো মানুষদের অভিভাবক ।
অনন্ত রহমত ও শান্তি নাজিল হোক মহানবী সাঃ, তাঁর পরিবার রাঃ, তাঁর সাহাবীবৃন্দ রাঃ, তাবেঈনবৃন্দ রাঃ সহ গোটা মুসলিম জাতির উপর ।
হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্য কথা বলো ।সূরা আল্ আহযাব ৭০
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে উত্তম বাণী হলো মহানবী সাঃ’র বাণী । তিনি বলেন “ একজন মুসলিম বান্দার ইসলামের সৌন্দর্য হলো বেহুদা কথা ত্যাগ করা ।” সুনানে তিরমিযি ২৩১৭ ,মুসনাদে আহমদ ১৭৩৭
বেহুদা অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকা উত্তম ও সচেতন বান্দার বৈশিষ্ট্য । সাইয়্যিদুনা লোকমান আঃকে প্রশ্ন করা হলো “ আপনার হিকমাহ কি ? অর্থাৎ এই জ্ঞান কিভাবে অর্জন করেছেন ? জবাবে তিনি বলেন “ যখন আমার যথেষ্ট হয়ে যায়, আমি কারো কাছে চাইনা এবং বেহুদা কথায় জড়িয়ে পড়িনা ।”
شعب الايمان ٢٦٤/٤
তাঁকে আবারো প্রশ্ন করা হলো “ এ উঁচ্চ মর্যাদায় আপনি কিভাবে পৌঁছলেন ? জবাবে তিনি জানালেন “ সত্যবাদীতা, আমানত যথাযথভাবে আদায় করা এবং বেহুদা কথা ত্যাগ করার মধ্যে দিয়ে ।” আল্ মোআত্বা ১৮২৭
মহানবী সাঃ বলেন “ তোমার জন্য উপকারী বস্তুর প্রতি আগ্রহী হও ।” ছহীহ মুসলিম ২৬৬৪
এ হাদিস থেকেও বুঝা গেলো যে, বেহুদা কথার মধ্যে কোন লাভ নেই । মহানবী সাঃ বলেন “ আল্লাহপাক তোমাদের জন্য তিনটি জিনিস অপছন্দ করেন । ১. বেহুদা কথা বলা ! ২. অযথা প্রশ্ন করা এবং সম্পদ নষ্ট করা ।”ছহীহুল বোখারি, ছহীহ মুসলিম
এক ব্যক্তির মৃত্যেুর সংবাদ আসার পর উপস্থিত লোকেরা বললেন “ মৃত ব্যক্তির প্রতি জান্নাতে প্রবেশের স্বাগতম !” এটা শোনার পর মহানবী সাঃ বললেন “ তোমরা কিভাবে জানলে লোকটি জান্নাতি ?” অর্থাৎ মহানবী সাঃ বুঝিয়েছেন যে, এসব বেহুদা কথা ছাড়ো । সুনানে তিরমিযি ২৩১৬
মহানবী সাঃ বলেন “ জিহ্বা সংযত করো ।” সুনানে তিরমিযি ২৪০৬
সাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাস রাঃ বলেন “ মুখে লাগাম দাও । হয়ত ভালো কথা বলো । গণিমত হবে । নয়ত চুপ থাকো । নিরাপদ থাকবে ।”
فضائل صحابة لاحمد ابن حنبل ٩٥٢/٢
আল্লাহপাক বলেন “ ইল্ম বিহীন কথা বলবেনা ।” সূরা আল্ ইসরা ৩৬
মহানবী সাঃ বলেন “ বিশেষ করে নিজেকে বেহুদা কথা বলা থেকে বিরত রাখো ।” সুনানে তিরমিযি ৩০৫৮
মহানবী সাঃ বলেন “ কোন ব্যক্তি গুনাহগার হওয়ার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা’ শোনে ( তদন্ত বিহীন ) বলে বেড়ায় ।”সুনানে আবু দাউদ ৪৯৯২
প্রিয় ভায়েরা ! আমল করার চেষ্টা করুন । বেহুদা অযথা অতিরিক্ত কথা বলা ও প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন । যে সব কথার মধ্যে ইহ ও পরকালের কোন কল্যাণ নেই, সে সব কথা বলবেন না ।
ইয়া আল্লাহ ! আমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করুন । আমাদের মা বাবাদেরকে মাফ করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ।
Discussion about this post