খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো দলের একক সম্পত্তি নয়, স্বাধীনতার নেতৃত্ব কোনো ব্যক্তির একক ইজারাদারি নয়। দেশের জাতির পিতা কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাজী আসমত কলেজ মাঠে এক গণসমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তার চেয়েও কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করে বিজয়ের সুফল ভোগ করা।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসর রা বর্তমানে বিদেশের মাটিতে আরাম আয়েশে থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতি করার পাঁয়তারা করছে।’রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগীতার সময় এখনো অনেক বাকি আছে। এখোনো আমাদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরস্পরের বিরুদ্ধে সকল প্রকার প্রতিযোগীতামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে ঐক্য ও সংহতি-কে মজবুত করতে হবে।
আদালত চত্বরে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরাতে স্লোগান দেওয়া আইনজীবীদের বিচারের মুখোমুখী করার দাবি জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ইন্টারপুলে রেড এলার্ট জারি করে শেখ হাসিনাকে ধরে এনে মীর মুগ্ধ-আবু সায়িদ-দের হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে।’
২০১৩, ২০২১ ও ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার দাবি এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এ গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব-১ মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব-২ মাওলানা আব্দুল আজিজ। এছাড়াও বাংলাদেশ খেলফত মজলিস ভৈরব উপজেলা শাখার আহবায়ক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীনের সভাপত্তিত্বে সমাবেশের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।
এছাড়াও সমাবেশে নরসিংদী, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাসহ ভৈরবের কয়েক হাজার অংশ নেন।
Discussion about this post