যার পুরো ক্যারিয়ারটা নানা নাটকীয়তা আর বিতর্কে পরিপূর্ণ, তার বিদায়েও যে নাটকীয়তা থাকবে তা তো আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু নাটকীয়তা যে এতটা চরমে পৌঁছাবে, আর অপমানজনক হবে তা কজনই বা চিন্তা করেছিল। ঘরের মাঠ মিরপুরে বিদায়ী টেষ্ট খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা দিয়েছিলেন, কিন্তু দুবাই এসেই থামতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।
ঘরের মাঠে সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না এ নিয়ে নানা শঙ্কা থাকলেও সব শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে রাখা হয় সাকিব আল হাসানকে। দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতেই ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে তৈরি হলো নতুন জটিলতা। তাই আপাতত সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত এসেই থামতে হয়েছে সাকিবকে। নতুন করে সবুজ সংকেত পেলেই ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
জানা গেছে, মিরপুরে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিগত কয়েকদিনের পরিস্থিতি সেইসঙ্গে অন্যান্য জটিলতার কারণেই দুবাইয়ে থামতে বলা হয়েছে তাকে। মিরপুরে স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিন চলছে সাকিব বিরোধী নানা কার্যক্রম। বিসিবির দেয়াল গুলোতেও লেখা হয়েছে সাকিব বিরোধী নানা স্লোগান। আর এসব বিষয় নিয়েই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। সাকিবের নিরাপত্তার কারণেই তার দেশে ফেরা খানিকটা জটিলতায় পড়েছে।
পাকিস্তান সফরে থাকাকালীন হত্যা মামলায় নাম আসে সাকিবের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের সাউথ আফ্রিকা সিরিজ খেলাটা তাই নির্ভর করছিল অনেক যদি কিন্তুর উপর। অবসরের ঘোষণার সময় তিনি নিজেও জানিয়েছিলেন, সিরিজ খেলে অনায়াসে দেশ ত্যাগের অনুমতি পেলেই কেবল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মিরপুরে খেলবেন। বিসিবি ও সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল।
তারকা এই অলরাউন্ডারের দেশে ফেরার খবরে অনেকের মধ্যেই ছিল অসন্তোষ। জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাকিবের নিশ্চুপ ভূমিকার কারণেই সমর্থকরা মনঃক্ষুণ্ণ। পরে অবশ্য সাকিব সে কারণে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেও কমেনি জনরোষ। মিরপুর থেকে টিএসসি; সব জায়গায় উৎসুক জনতা সাকিবকে নিয়ে বিক্ষোভ করায় তার দেশে ফেরা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা।
Discussion about this post