দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। পুরোদস্তুর উড়িয়ে দিয়েছে বলিভিয়াকে। অর্ধ ডজন গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে।
আগের দুই ম্যাচে ম্যাচে হোচট খেয়েছিল আলবিসেলেস্তারা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারের পর গত ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মাঠে ড্র করে বসে আর্জেন্টিনা।
তবে আজ (বাংলাদেশ সময়) ঘরের মাঠে বলিভিয়ার বিপক্ষে দিয়েছে নিজেদের সেরাটাই। বুধবার ভোরে ৬-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
দারুণ হ্যাটট্রিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আরো এক কীর্তি গড়লেন লিওনেল মেসি। পেয়েছেন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দশম হ্যাটট্রিকের দেখা। ছুঁয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে৷ তার আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক সংখ্যাও সমান ১০।
তবে একটা জায়গায় এগিয়ে মেসি। ১৮৯টি ম্যাচ খেলেই ছুঁয়েছেন এই মাইলফলক। যেখানে রোনালদো খেলেছেন ২১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের অধিকারী হতে প্রয়োজন এখনো আরো তিনটা হ্যাট্রিক।
বুয়েনস আইরেস এদিন যেন কেবল মেসির। নিজে যেমন হ্যাটট্রিক করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো দুটি গোল। অধিনায়কের এমন জ্বলে উঠার দিনে বলিভিয়াকে নিয়ে একেবারে ছেলেখেলা করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
১৯তম মিনিটে আসে প্রথম গোল। মার্তিনেসের কাছ থেকে গোলমুখ খোলেন মেসি। ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাঁকানো ফ্রি কিক নেন মেসি। লক্ষ্যে থাকলেও দারুণ দক্ষতায় তা আটকে দেন বলিভিয়া গোলরক্ষক।
আট মিনিট পর ঠিকই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। এই গোলেও জড়িয়ে মেসি-মার্তিনেসের নাম। তবে এবার গোল করেন মার্তিনেস, সহায়তা করেন মেসি।
দুই গোল হজমের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবারও পিছিয়ে পড়ে বলিভিয়া। মাঝমাঠ থেকে মেসির উঁচু করে বাড়ানো দারুণ ফ্রি কিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, দলকে এগিয়ে নেন আলভারেস। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে আর্জেন্টিনা। ৬৫ মিনিটে আলভারেজের বদলি হিসেবে নামেন আলমাদা। আর ৭০তম মিনিটেই গোলের দেখা পান তিনি। নাহুয়েল মোলিনার পাস ধরে আদায় করেন চতুর্থ গোল।
পরের গল্পটা শুধুই মেসির৷ গোলের হালি পূরণ করেও যেন তৃপ্তি মেটেনি তার৷ ম্যাচের শেষ দিকে এসে জ্বলে উঠেন তিনি। ৮৪তম মিনিটে এসেকিয়েল পালাসিওসের পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি।
হ্যাটট্রিক আদায় করে নিতে আর দেরি করেননি। মিনিট দুয়েক পর ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নিকো পাজের ব্যাক পাস থেকে নিজের তৃতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোল আদায় করে নেন এই চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১১২তম গোলের দেখা পেলেন মেসি। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হবার তালিকায় তার উপরে কেবল রোনালদো। ১৩৩ গোল তার।
Discussion about this post