ছাত্রদের উপর গুলি চালানো ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের কেনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক দেশে ফিরলে তাকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের করবে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদের উপর যেসব ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছে, সেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের এখনো কেনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না? যারা আবু সাঈদ, মুগ্ধকে হত্যা করেছে- তাদেরকে আপনারা খুঁজে পাবেন না, এটা কেমন কথা? আপনারা যদি এদেরকে আইনের আওতায় না আনেন তাহলে তারা আরো বড় ধরনের নাশকতা করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে গিয়েছে। ভারত তাদের পাসপোর্ট চেক করেনি, তাদের ভিসাও লাগেনি। অথচ বাংলাদেশের অন্য মানুষ ভারতে গেলে তাদের তো পাসপোর্ট ও ভিসা লাগে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যকে র্যাব ও পুলিশ বাংলাদেশে দুই মাস গুম করে রাখার পরে ভারতে ফেলে দিয়ে এসেছিল। সেখানে তাকে জেল খাটতে হয়েছে।
রিজভী বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সে দেশে গণতন্ত্র আছে। তারা কী করে বাংলাদেশকে এক চোখে দেখে? তারা জনগণকে অবজ্ঞা করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবজ্ঞা করে। তারা শুধু অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে।
এসময়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post