মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে হত্যা করে সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে রুনা বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। পরে প্রতিবেশীরা মরদেহ দেখতে পেয়ে ছেলের বউ ও তার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিংগাইর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াডিঙ্গী এলাকার নিহতের ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হায়াতুন নেছা সিঙ্গাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গি গ্রামের মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। আটক দুজন হলেন, ছেলের বউ রুনা বেগম ও তার মা (নিহতের ছেলের শাশুড়ি)।
স্থানীয়রা জানান, সিংগাইর পৌরসভার নয়াডাঙ্গী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও তার ছেলের বউ রুনা বেগম একই বাড়িতে বসবাস করতেন। মাঝে মধ্যে ছেলের বউ রুনা তার শাশুড়িকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হতেন। এ নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাতে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিন্দুকের ভেতরে মরদেহ লুকিয়ে রাখে।
রোববার সকালে রুনা বাড়ি থেকে তার নানির বাড়ি চলে যায়। এদিকে বাড়িতে কোনো সারাশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে রুনা তার মাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসলে আত্মীয়-স্বজনরা জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে বলে জানায়। পরে পুলিশকে জানালে সিন্দুকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিংগাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে নিহতের শয়নকক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়ে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post