বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সমাবেশ করায় মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলাকারী দূতাবাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খাস্তগীরকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র তৌফিক হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত খোরশেদ আলম খাস্তগীরের পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
খাস্তগীর মালয়েশিয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে প্রতিবাদকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি ওই সময় অন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন এবং পরে তার তত্ত্বাবধানে কুয়ালালামপুরের কাজাং থানায় মামলা করা হয়।
এছাড়াও পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটে দেখা যায়, খোরশেদ আলম খাস্তগীর মালয়েশিয়া প্রবাসী যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলেরও সুপারিশ করেছিলেন।
বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ বিতর্কিত হন পেশাদার কূটনীতিক খোরশেদ আলম খাস্তগীর। তাকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের পর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান প্রবাসীরা। তারা খাস্তগীরের নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলেন।
খাস্তগীর বিসিএস (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের একজন পেশাদার কূটনীতিক। তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে প্রথম সচিব এবং ওমানের মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
Discussion about this post