মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকটের জন্য ১০১ রিক্রুটিং এজেন্সিকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হলেও আড়ালে থেকে গেছে সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো, এর সংখ্যা প্রায় ১১শ। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় বলছে, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিসহ নানা কারণে গত মে মাসে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব শ্রমিকের তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করা হয়নি। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সহযোগী এজেন্সিগুলোতে সম্পৃক্ত করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, শ্রমিকদের পাওনার ইস্যুটি কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে একটি অসাধু চক্র মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধ্বংস করার মিশনে নেমেছে। তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। অথচ মালয়েশিয়া বর্তমানে রেমিট্যান্স আহরণের দিক থেকে অষ্টম হতে চতুর্থ অবস্থানে এসেছে। মালয়েশিয়ার জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ৩১ মে মালয়েশীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনুমতি পাওয়া ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী দেশটিতে যেতে পারেননি। কর্মীপ্রতি কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা হিসাবে ৮৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আটকে আছে। অর্থ ফেরতের জন্য দুই দফা সময় বেঁধে দেওয়া হলেও অনেক শ্রমিক তাদের অর্থ বুঝে পাননি। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সি সরাসরি শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ না নিয়ে সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সির কাছ থেকে নিয়েছে। অর্থ ফেরত প্রক্রিয়ায় সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সম্পৃক্ত করা না গেলে শ্রমিকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকদের দায়দেনা পরিশোধপূর্বক প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবহিত করবে। এ ছাড়া গত ২৬ সেপ্টেম্বর বহির্গমন ছাড়পত্র পাওয়া কর্মীদের দায়দেনা পরিশোধের তথ্য ১০ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারিত ছকে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
Discussion about this post