সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুমা’র খোৎবা
বিষয়ঃ আমাদের প্রিয় রসুল সাঃ ও সালাম প্রচলন ২৭/০৯/২০২৪
পূত পবিত্র রাজাধিরাজ শান্তিময় মহান আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা । যিনি তাঁর রসুলকে সাঃ প্রেরণ করেছেন সালাম সহকারে । রহমত ও অনুগ্রহ নাজিল হোক মহানবী সাঃ’র প্রতি । যাঁর মাধ্যমে আল্লাহপাক তাঁর সন্তুষ্টি অন্বেষণকারীদেরকে শান্তির পথ প্রদর্শন করেন । প্রিয় নবী’র আঃ পরিবার রাঃ, সাহাবীগণ রাঃ, তাবেঈনগণ রাঃ সহ গোটা মুসলিম উম্মাহর উপর শান্তি ও সালাম নাজিল হোক । যখনই আমরা প্রিয় নবীজী সাঃ’কে স্মরণ করি, অনায়াসে তাঁর প্রতি দরুদ ও সালাম এসে যায় ।
সাহাবীদের রাঃ উদ্দেশ্যে রসুল সাঃ বলেন “ আমি তোমাদের কাছে প্রশান্তময় হৃদয়ে আসতে ভালোবাসি ।”
সুনানে আবু দাউদ ৪৮৬০মহানবী সাঃ’র জন্য আমাদের মা বাবা কুরবান হোক । তিনি বলেছেন “ পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান করো ।”ছহীহুল বোখারি ১২ছহীহ মুসলিম ৩৯মহানবী সাঃ বলেন “ ঘরে প্রবেশ করা মাত্রই তোমার পরিবারকে সালাম দাও । এটা তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য বরকতময় ।”
সুনানে তিরমিযি ২৬৯৮
নিঃসন্দেহে সালাম আল্লাহর অন্যতম নাম । এ সালাম দেয়ার জন্য তিনি আদেশ করেন । তোমরা একে অপরকে সালাম আদান প্রদান করো । “বলেছেন বিশ্বনবী সাঃ । আল্ আদাবুল মুফরাদ ৯৮৯
আর যদি তাঁরা সন্ধি করতে আগ্রহী হয়, আপনিও তাই করুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন ।” সূরা আল্ আনফাল ৬১
এখানেও সন্ধি অর্থে আল্লাহপাক সালাম শব্দ ব্যবহার করেছেন ।
মক্কা বিজয়ের পর মহানবী সাঃ বলেছিলেন “ আমি তোমাদের সংগে কেমন আঁচরণ করলে খুশি হবে ?” তাঁরা জবাব দিয়েছিলো উত্তম চাই । শান্তি ও সালাম চাই । মহানবী সাঃ বললেন “ যাও । তোমরা মুক্ত ।”
سيرة ابن هشام ٤١٢
মহানবী সাঃ বলেন “ ঈমানদার সেই, যাঁর কাছে মানুষ নিরাপত্তা বোধ করে ।”মুসনাদে আহমদ ১২৫৬০
প্রিয় নবীজী সাঃ বলেন “ মুসলিম সেই, যাঁর মুখ ও হাতের কষ্ট থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ ।”মুসনাদে আহমদ ৪৮৬২
মহানবী সাঃ দোয়া করতেন “ আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম । ওয়া মিনকাস সালাম । তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তা’আলাইতা ইয়া যাল জালালী ওয়াল ইকরাম ।”ছহীহ মুসলিম ৫৯২
কেয়ামতের দিন যে ব্যক্তি আসবে প্রশান্তময় হৃদয়ে সেই লাভবান হবে ।” সূরা আশ শোয়ারা ৮৯
মহানবী সাঃ বলেছেন “ তোমরা পরস্পর সালাম চালু করো । এতে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ।” ছহীহুল জামে ১০৮৮সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট হাফিঃ বলেন “ আমাদের আগামী ভবিষ্যতের ভিত্তি হলো সালাম বা শান্তি প্রতিষ্ঠা ।”
পরকালে তাঁদের জন্য রয়েছে শান্তির আবাস্থল ।” সূরা আল্ আনআম ১২৭
অর্থাৎ মু’মিনদের জন্য । হে প্রিয় ভায়েরা ! আসুন আমরা পরস্পর পরস্পরকে সালাম দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি । সন্তানদেরকে সালাম দেয়া শিখাই এবং নিজেরা আমল করি । ইয়া আল্লাহ ! আমাদেরকে মাফ করে দিন । আমাদের মা বাবাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমিন ।
Discussion about this post