জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাকে পিটিয়ে আহত করেন।
তিনি আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া মোল্লাবাড়ীর ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তার নামে চারটি হত্যা মামলা দায়ের রয়েছে বলেন জানান আশুলিয়া থানার ওসি। এছাড়া তিনি গত ১৫ই জুলাই দিবাগত রাতে জাবি শিক্ষার্থীদের উপর করা ছাত্রলীগের হামলায় তিনি সরাসরি গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে আমাদের অবহিত করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করি। এরপর গাড়িতে তুলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম গণধোলাইয়ে মৃত্যুর বিষয়টিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে বলেন, তাকে শিক্ষার্থীরা আটকের পর মারধর করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়। পরে আমরা আশুলিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর পুলিশে সোপর্দ করলে তিনি নিজে হেঁটে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। তখন তাকে দেখে আশঙ্কাজনক মনে হয়নি। পরবর্তীতে পুলিশের গাড়িতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বিষয়টি ভালোভাবে না জেনে মন্তব্য করতে পারছি না।
Discussion about this post