কালবেলার সাবেক সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মাকে ভারতীয় গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে নিজের ফেসবুক হ্যাণ্ডেলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মুফতি হারুন ইযহার (দাঃবাঃ)।
তিনি তার একাউন্টে লেখেন, ”
এই সেই সন্তোষ শর্মা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত দৈনিক কালবেলার প্রকাশক ও সাবেক সম্পাদক।
আমাকে কুখ্যাত সি টি টি সি ২১ সালের সেপ্টেম্বরে রিমান্ডে নেয়। ডি সি (….)এর কক্ষে তার এবং এ ডি সি ইমারানের উপস্থিতিতে দুইজন লোক আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ছবিতে যাকে দেখছেন তার পরিচয় জানতাম না। সে ইংরেজি ভাষায় আমার পারিবারিক ডিটেইলস পরিচয় তুলে ধরে পাশের বিদেশী লোকটির নিকট।
সন্তোষ আমাকে বলে আমরা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এসেছি, আর এই ভদ্রলোক শ্রীলঙ্কার। আমরা আপনাকে কিছু বিষয় জিজ্ঞেস করবো। আমি বললাম আপনাদের ভিজিটিং কার্ড দেন। সে জাস্ট বললো আচ্ছা! তার পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
পাশের ‘ভদ্রলোক’ ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় আমাকে ৪ ঘন্টা ভয়ংকরভাবে অসংখ্য বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করেন।
খোলাসা হলো আমি জঙ্গি এবং পাশের একটি দেশের জন্য হুমকি।
কে ছিলেন সে বিদেশী লোক? তার পরিচয় ও পদবী বাংলাদেশের সে সময়ের গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার জানা আছে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামি শাসনের হাই প্রোফাইলে তার নিয়মিত আসাযাওয়া ছিলো।
ঐ ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসার নিয়ে আমার মাথাব্যথা না। আমার আফসোস হাসিনার রেজিমের গোলাম প্রশাসনিক লোকদের জন্য যারা নিজের স্বকীয়তার সতিত্বকে এভাবে বিদেশী অমুসলিম আধিপত্যবাদের কাছে বিসর্জন দিলো।
আর ছবিতে দেখা যাওয়া সাংবাদিকতার ছদ্মাবরণে লুকিয়ে থাকা এ ভারতীয় গুপ্তচর- সন্তোষ শর্মা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
তাকে গ্রেফতার না করলে বহু রহস্য অনুদঘাটিত থেকে যাবে।
আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পেরেছি সন্তোষ শর্মা নিয়মিত বিদেশি গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সি টি সি সির অফিসে অসংখ্য মুসলমানকে জিজ্ঞেসাবাদ ও নির্যাতনে অংশ গ্রহণ করেছে।
এ দেশ কি ৫ আগস্টের পর আসলেই মুক্ত হয়েছে?
Discussion about this post