বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার প্রায় ১৬ বছর অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে। পরিশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাআল্লাহ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাস্তবায়ন রক্ষা করতে হবে। তাই সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে খেলাফত মজলিসের সকল নেতা-কর্মীদের পাহারায় থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)বিকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মুফতি রমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত জালালী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন খানসহ খেলাফত মজলিস এর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ অনেকে।
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাহবাগে রাতের অন্ধকারে বুলেটের আঘাতে ঝাঝরা হতে হয়েছে নবী প্রেমিক বহু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীক। ২০২৪ সালের জুলাই মাস জুড়ে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পরাজয় শুরু হয়। খুনি হাসিনা, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, হাতুরি লীগ, হেলমেট লীগ সশস্ত্র অবস্থায় এদেশের শান্তিপ্রিয় কোমলমতি ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল, আর গুলি করে একের পর এক হত্যা করা হলো আমাদের সন্তানদের।’
মামুনুল হক বলেন, ‘হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা যত খুশি মূর্তি বানান, আমরা আপনাদের পাহারা দেবো। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে কোনো বাবার মূর্তি করতে দেওয়া হবে না। যারা তৈরি করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার রাজনীতির কূটো কৌশল ছিল সংখ্যালঘুদের রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে ছোবল মারতো। এটা ছিল শেখ হাসিনার কৌশল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ইমাম সমাজ এদেশের ইসলাম প্রিয় জনতা এক মাস পর্যন্ত হিন্দুদের বৌদ্ধদের খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এই দেশে সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ধরে রাখব। এই দেশ মুসলমানের এই বাংলাদেশ হিন্দুদের এই বাংলাদেশ বৌদ্ধদের এই বাংলাদেশ খ্রিস্টানদের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা মোদি সরকারের অধীনে রয়েছে। কিন্তু সেখানে বসে যদি আমাদের এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করে তবে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশকে আর কখনোই পিছনে নিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।’
Discussion about this post