গুম হওয়া ব্যক্তির বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা জানতে চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। জোরপূর্বক গুমের ঘটনার ভিকটিম নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যে কোনো ব্যক্তি স্বশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে অথবা কমিশনের ই-মেইলে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনের সংযুক্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা জজ বুলবুল হোসেনের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোন্ট পার্কসহ দেশের অন্য যে কোনো আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক বিগত ০১/০১/২০১০ হতে ০৫/০৮/২০২৪ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নির্মিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তার কমিশন অফ ইনকোয়ারি গঠন করেছেন।
জোরপূর্বক গুমের ঘটনার ভিকটিম নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যে কোনো ব্যক্তি স্বশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে অথবা কমিশনের ই-মেইলে আগামী ১৫/০৯/২০১৪ হতে ৩০/০৯/২০১৪ ২০১৪ পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবস সকাল ১০.৩০ ঘটিকা হতে অপরাহ্ন ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।
তবে বর্ণিত সময়সূচী অনুযায়ী অভিযোগ দাখিলের জন্য হটলাইনের মাধ্যমে এ্যালোয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রতিটি অভিযোগনামায় অন্যান্য তথ্যাদিসহ অভিযুক্ত গুমের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ, ঘটনার স্থান, তারিখ ও সময়, অভিযোগকারী ও তাঁর পিতা/মাতার নাম, গ্রিকটিমের নাম ও তাঁর পিতা/মাতার নাম, ভিকটিমের সহিত অভিযোগকারীর সম্পর্ক, অভিযোগকারী ও ভিকটিমের ডাক ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল এবং অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা ইত্যাদি, অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এছাড়াও অভিযোগনামায় বর্ণিত গুমের ঘটনার সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমানাদি, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার তালিকা সহ অভিযোগকারী ও ভিকটিমের জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে) দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অস্ত্র কমিশন কর্তৃক পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে অভিযোগ দাখিলকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তাঁর প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত যোগাযোগক্রমে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য যে, দেশের গুম সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য সংগ্রহসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ পূর্বক অগ্র কমিশন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও সহায়তা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
Discussion about this post