সম্প্রতি ১০ মিনিট ১ সেকেন্ডের এক ফোনালাপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে যা গণমাধ্যমেপ্রকাশ পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তানভীর নামে ওই নেতা বিদেশে বসে দেশের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুমি যেখানে আছো, সেখানে বসেই সহায়তা করো।’ এর আগে তিনি বলেন, ‘যত মামলা নেতাকর্মীদের নামে হয়েছে তা সবাই মার্ডার কেস।’
আইনজীবীদের বিষয়ে শেখ হাসিনার কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি সকল আইনজীবীকে একত্র হয়ে কোর্টে যাতায়াত করার পরামর্শ দেন। ওই কথোপথন থেকে জানা যায় যে নেতা শেখ হাসিনা ফোন দিয়েছিলেন তিনি যে দেশে রয়েছেন সেখানে আঞ্চলিক নির্বাচন চললে। শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনে নেতাদের সাহায্য করতে বলেন এবং দেশের বিষয়ে তিনি তাদের জানিয়ে রাখতে বলেন।
পরে জানা যায়, তানভীর নামের ওই নেতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে আবেগঘন আলাপচারিতায় কেদে দিয়ে বলেন, আপনি যতদিন আছেন আমরাও ততদিন আছি। আমরা আছি আপনার জন্য।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দূরে নেই। আমাদের দেশের অনেক কাছাকাছি আছি যাতে চট করেই ঢুকে পড়তে পারি।’ পরে শেখ হাসিনা তাকে বলেন, ‘এখন দেশে গেলে মামলা দিয়ে দেবে। পরে কিছুই করতে পারবা না। আমরা নামে ১১৩টা মামলা।’ এ সময় শেখ হাসিনা মামলা বিষয়ে জাতিসংঘকে জানানোর বিষয়েও কথা বলেন।
পরে আলাপের মধ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা ব্যাংকে টাকা লুটে খাচ্ছে। দেশ আবার দারিদ্র সীমার নিচে যাচ্ছে।’ এ সময় ওই নেতা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে জড়ানোর কথা বলেন। তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাতে কিছু যায় আসে না।’
Discussion about this post