গত ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জসিম উদ্দিন সরকার (৩২)। অবশেষে তার পরিচয় মিলেছে। তবে এখনও বেওয়ারিশ ৫ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে জসিমের স্ত্রী বানেছা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পেশায় জসিম উদ্দিন অটোরিকশাচালক। তার বাড়ি জামালপুরে।
জসিমের স্ত্রী বানেছা বেগম জানান, ৫ আগস্ট দুপুরে বাসা থেকে বের হন জসিম। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ জসিমের ফোন খোলা পাওয়া যায় এবং একজন কল রিসিভ করে বলেন, উত্তরার আজমপুর এলাকায় ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন জসিম। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই হাসপাতালে যান তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। যারা মারা গেছে পরে তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন বানেছা বেগম।
তিনি আরও জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মিলনদহ উপজেলার নয়ানগর গ্রামে। মেয়েকে নিয়ে উত্তরখান ময়নারটেক এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ইনচার্জ রামুচন্দ্র দাস জানান, বিগত কয়েক দিনে সহিংসতার ঘটনায় এখানে আটটি মরদেহ আনা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। শুক্রবার জসিমের স্ত্রী তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এখনও এখানে বেওয়ারিশ পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে
Discussion about this post