২০২০ সালে জীবিকার তাগিদে দুবাই পড়ি জমান ছেলে। এরপর পুত্রবধূর উপর কুনজর পড়ে শ্বশুর রেজাউল মিয়া (৫৩)। বার বার কুপ্রস্তাব দিলেও রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে জোর করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রেজাউল। এঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে এ রায় দেন ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের পিপি স্বপন পাল।
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রেজাউল মিয়া (৫৩)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে প্রেম করে বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেন ওই গৃহবধূ (৩১)। ওই ঘরে তাদের দুইজন শিশু সন্তান রয়েছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে জীবিকার তাগিদে দুবাই যান স্বামী। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূর শ্বশুর রেজাউল মিয়া তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ওই গৃহবধূ তার ঘরে শুয়েছিলেন। তখন তার কক্ষে ঢুকে শ্বশুর রেজাউল দরজা আটকে দিয়ে তার এক নাতির গলায় ছুরি ধরে পুত্রবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এরপর আরও কয়েকবার একইভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল বোয়ালমারী থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরদিন ২১ এপ্রিল শ্বশুরকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি রেজাউল মিয়াকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুরের পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দীন সরদার।
Discussion about this post