নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন আব্দুর রহিম (২৯) নামে এক মোবাইল কারিগর। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগী নারীর নগ্ন-অর্ধ নগ্ন ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বেগমগঞ্জের মোরশেদ কমপ্লেক্স শপিং সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিম বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর মিয়াজান মিঝি বাড়ির আবুল কালামের ছেলে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহিম মোরশেদ কমপ্লেক্স শপিং সেন্টারের ৪র্থ তলার একটি দোকানের মোবাইল কারিগর। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী। ওই নারী তার মোবাইলে গুগল আইডিসহ যাবতীয় সেটিংস ঠিক করে দেওয়ার জন্য মেকানিক আব্দুর রহিমকে বললে তিনি মোবাইলে গুগল আইডিসহ যাবতীয় সেটিংস ঠিক করে দেন। এ সময় কৌশলে আব্দুর রহিম মোবাইলের জি-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখেন। এদিকে ওই নারী তার প্রবাসী স্বামীর অনুরোধে নিজের কিছু নগ্ন-অর্ধ নগ্ন ছবি ও ভিডিও তুলে তার স্বামীর কাছে পাঠান। কিন্তু এসব ছবি গুগল আইডিতে গিয়ে সেভ হয়ে যায়।
আব্দুর রহিম সেই মেইল লগ ইন করে এসব ব্যক্তিগত ছবি নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখেন। এরপর সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী নারী সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আব্দুর রহিম আবারও ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী নারী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি বিশেষ অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ এক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। অনলাইনে খারাপ ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করার হুমকি একটা সাইবার অপরাধ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পর্ণগ্রাফি ও সাইবার অপরাধ আইনে মামলা হয়েছে।
Discussion about this post