১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। এর আগে, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। অবশেষে রোহিত শর্মার হাত ধরে এলো আকাঙ্ক্ষিত সেই দিন।
শনিবার (২৯ জুন) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে ১৫ ওভার শেষে জয়ের জন্য ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণ নামিয়ে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ভারতীয় বোলারদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের সামনে ২২ রানের বেশি নিতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
এদিকে টুর্নামেন্টের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি। এবারের মোট প্রাইজমানি ১১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।
এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি ও ২ কোটি ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা পেয়েছে ভারত। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি ৩৭ লাখ রুপি।
চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি ছাড়াও বেশকিছু পুরস্কার পেয়েছে ভারত। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য বোনাস পেয়েছে দলগুলো। এবার গ্রুপপর্বে ৩টি এবং সুপার এইটে ৩টি ম্যাচে জিতেছে রোহিত শর্মার দল।
প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লাখ রুপি করে পুরস্কার পাচ্ছে ম্যান ইন ব্লুরা। সে হিসেবে ৬টি ম্যাচ জিতে আরও প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ রুপি পেয়েছে তারা। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোট ২২ কোটি ৬ লাখ রুপি পেয়েছে ভারত।
অন্যদিকে রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা ১ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা) পেয়েছে। এ ছাড়া গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটে ৭ জয়ের জন্যও অর্থ পেয়েছে তারা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদপড়া ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা করে পেয়েছে।
এ ছাড়া সুপার এইট থেকে বাদপড়া ৪ দল ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে পেয়েছে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পেয়েছে।
পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার করে পেয়েছে। সে হিসেবে ৩ ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান পেয়েছে।
Discussion about this post