দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধাক্কায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি। সঙ্গে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ ঘরবাড়ি।
সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলাসহ উপকূলীয় ১৯ জেলার ১০৭ উপজেলায় ৯১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সরকারের প্রস্তুতির কারণে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই। ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ টি জেলায় জিআর হিসেবে ৩ কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, পাঁচ হাজার পাঁচশ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। এসব সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে যাবে।
মহিবুর রহমান আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বা স্থায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
Discussion about this post