পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসে ছয় গ্রামের দুই হাজারের বেশি মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাপুয়া নিউগিনির পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র পোর্ট মোরেসবিতে জাতিসংঘের কার্যালয়কে জানিয়েছে, ভূমিধসে দুই হাজারের বেশি মানুষ জীবিত অবস্থায় মাটির নিচে চাপা পড়েছেন এবং সেখানে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজ এবং ভিডিওতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ভূমিধসের পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা বড় বড় পাথর সরানোর চেষ্টা করেন। বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে এবং ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়েন।
একদিন আগেই জানা যায় যে, ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৬৭০ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫০টির বেশি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
এখনো সেখানে ছোট-বড় ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি বাড়ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ৩টার দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তরের এনগা প্রদেশে ভূমিধস আঘাত হানে। মধ্যরাতে যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটে তখন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।
Discussion about this post