ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।
জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচি শুরু করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এ ছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।
আইওএম মহাপরিচালকের সফরে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে জানতে চাইলে এক সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, অভিবাসন নিয়ে তারা কাজ করেন। তার মানে (সফরে) অভিবাসন ইস্যুতে ফোকাস থাকবে। আমাদের সঙ্গে তারা মূলত কাজ করছে, রিটার্ন এবং ইন্টিগ্রেশানের ওপর। এক্ষেত্রে এখানে ওদের কাজের ফোকাসটা হয়ে গেছে আমাদের লিবিয়া বা বিভিন্ন জায়গায় যেসব লোকজন আটকা পড়ছে তাদের ফিরিয়ে আনা।
তিনি আরও বলেন, আইওএম বলকান থেকেও বাংলাদেশিদের আনার চেষ্টা করছে। তাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহায়তা করা, এ বিষয়টাতে তারা বেশি এনগেজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসন ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।
ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
Discussion about this post