রাবারের তৈরি একটি ডিঙ্গি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় কমপক্ষে ৬০ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এই ঘটনায় ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। লিবিয়া থেকে তারা এই বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করেছিলেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে রাবারের তৈরি একটি ডিঙ্গি নৌকা বিপদে পড়ার পর অন্তত ৬০ জন অভিবাসী মারা গেছেন বলে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। পরে এসওএস মেডিটেরানি নামের এক মানবিক সংস্থার জাহাজ ওশান ভাইকিংয়ে করে বেঁচে যাওয়া ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তারা তাদের উদ্ধারকারীদের বলেছেন, তারা বেশ কয়েক দিন আগে লিবিয়ার জাওইয়া উপকূল থেকে রওনা হয়েছিল। এরপর ডিঙ্গির ইঞ্জিন তিন দিন পর বিকল হয়ে যায় এবং তারপর থেকে নৌকাটি খাবার বা পানি ছাড়াই সাগরে ভেসে ছিল।
জীবিতরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও অন্তত একজন শিশু রয়েছে। তারা পানিশূন্যতা এবং ক্ষুধায় মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কেউই পানিতে ডুবে মারা যায়নি।
এসওএস মেডিটেরানি বলেছে, গত শুক্রবার রওনা হওয়া ওশান ভাইকিং জাহাজের দলটি ওই ডিঙ্গিটিকে বুধবার দূরবীন দিয়ে দেখতে পায় এবং পরে ইতালীয় উপকূলরক্ষীদের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
সংস্থাটি বলেছে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা ‘স্বাস্থ্যগত ভাবে খুব দুর্বল অবস্থায় রয়েছে’ এবং তারা সবাই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে দুজন অজ্ঞান এবং সংকটজনক অবস্থায় ছিল এবং পরে তাদের আরও চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংস্থাটি আরও বলেছে, বাকি ২৩ জন এখনও ওশান ভাইকিং জাহাজে রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে আরও ২০০ জনেরও বেশি অভিবাসী রয়েছেন যাদেরকে অন্য দুটি নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
জাহাজে থাকা এসওএস মেডিটেরানির একজন মুখপাত্র বলেছেন, বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের মতে, তারা দুর্দশান মধ্যে নৌকায় ছিলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে তারা পথ হারিয়ে ভাসছিলেন, তাদের সাথে থাকা খাবার ও পানিও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পথে মানুষ মারা গেছে। আমি এমন একজন ব্যক্তির সাথে দেখা করেছি যে তার স্ত্রী এবং দেড় বছরের বাচ্চাকে হারিয়েছে। শিশুটি প্রথম দিন মারা যায়, মা চতুর্থ দিন। তারা সেনেগাল থেকে এসেছিল এবং দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ায় ছিল।
জেআই/
Discussion about this post