ইন্টারন্যাশনাল জেম সোসাইটির নতে, ১৯৫০-এর দশকে প্রথম ল্যাব-গ্রোন ডায়মন্ড উৎপাদিত করা হয়েছিল। এই প্রযুক্তিকে দিনের পর দিন উন্নত করা হয়েছে। এতে করে এই ল্যাবে তৈরি হীরার তাস ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী হয়। এর পাশাপাশি উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য এটি সহজলভ্য হতে পারে। আর কৃত্রিমভাবে হীরা তৈরির অর্থ হল, আপনি মরুভূমিসহ যেকোনো অপ্রত্যাশিত জায়গায় হীরা উৎপাদন করতে পারবেন।
হীরা আমদানি এবং রফতানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এখানে হীরার কোনো খনি নেই। দেশটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাবেগ মরুভূমিতে এলজিডি উৎপাদন শুরু করেছেন। ২০২২ সালে দুবাইভিত্তিক টু ডট ফোর ডায়মন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
সাবেগের মতে, রত্নটি প্রকৃতি বা ল্যাবে একই প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হয়। শুধু পার্থক্য হলো আমরা চাপ, তাপ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করি। আর খনি থেকে সংগ্রহ করা হীরার ক্ষেত্রে প্রকৃতিই এগুলো করছে।
হীরা তৈরির কোম্পানির নাম ২ডি০টি৪। এই কোম্পানি নাম নির্ধারণ করা হয়েছে হীরার প্রতিসরণকারী সূচক থেকে। এটির অর্থ যে গতিতে আলো বাতাসের তুলনায় হিরের মধ্য দিয়ে যায়, যা প্রায় ২.৪ গুণ ধীর।
সাবেগের মতে, ২ডি০টি৪-এর সৃষ্টি এমন একটি দেশে এলজিডি উৎপাদনের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে যেটি বর্তমানে বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে বেশি হীরা আমদানি করে। সূত্র : জি নিউজ
জেআই/
Discussion about this post