ছয় বছর আগে ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কথা স্মরণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাইর পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড আমাদের ভয়ংকর রাজনীতির এক কালো অধ্যায়।’তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ কত নগ্ন ও নির্মমভাবে আমাদের ওপর চেপে বসেছিল তার নৃশংস দৃষ্টান্ত। একইসঙ্গে দেশে রাজনীতির নামে যে নীতিহীন, স্বার্থবাদের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছিল তারও একটি উদাহরণ।’
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাজনীতির বিদ্যমান ধারা বদলে নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রেজাউল করীম এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে আবরার ফাহাদের বাবা-মা, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানান রেজাউল করীম। বলেন, ‘আবরারের রক্তের দায় শোধ করার জন্য বাংলাদেশপন্থী ইতিবাচক রাজনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করছি।’বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। ওই শিক্ষায়তনে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।রেজাউল করীম বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বহুরৈখিক মাত্রা আছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও বুয়েটের ছাত্র। তারাও মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মেধাবী সেই ছেলেগুলোকে খুনিতে রূপান্তরের দায় পুরোনো বন্দোবস্তের রাজনীতিকে এবং আওয়ামী লীগকে নিতেই হবে। অশুভ সেই রাজনীতি আমাদের হাজারো সন্তানকে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাজারো সন্তানকে খুনিতে রূপান্তরিত করেছে।’
রেজাউল করীমের ভাষ্য, আবরার হত্যাকাণ্ডে পতিত আওয়ামী লীগের ভূমিকার বিচার করলেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।