শারজাহতে বসবাসরত ৪৪ বছর বয়সী এক প্রাইভেট ড্রাইভার সম্প্রতি বিগ টিকেট আবুধাবির সেপ্টেম্বর ড্র-এ ২ কোটি দিরহামের গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বশেষ বাংলাদেশি কোটিপতি হয়ে উঠেছেন।
বিগ টিকেট আবুধাবির সর্বশেষ ড্র-এ পুরস্কার জিতে বাংলাদেশি ড্রাইভার হারুন সরদার, নূর নবী সরদার জানিয়েছেন, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে নিজের দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই।
“আমি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই আমার বাড়ি মনে করি, কারণ এই দেশ আমাকে আমার কল্পনার চেয়েও বেশি দিয়েছে,” বিজয়ী হারুন সারদার নূর নবী সারদার ফোনে খালিজ টাইমসকে বলেন।
তিনি আবেগভরা কণ্ঠে আরও বলেন, “আমি কখনোই সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়ব না। আমি এখানে ১৬ বছর ধরে বসবাস করছি, এই দেশ আমাকে সবকিছু দিয়েছে।”
সম্পূর্ণ অবাক করা খবর
তার এই জীবন-পরিবর্তনকারী জয়ের খবরটি কীভাবে পেলেন তা জানতে চাইলে হারুন বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
“আমরা দু’টি যোগাযোগ নম্বর দিয়েছিলাম। বিগ টিকেট টিম প্রথমে আমাকে ফোন করেছিল, কিন্তু আমি কলটি মিস করি। তারপর তারা আমার এক বন্ধুকে ফোন করে, যে তখন গাড়ি চালাচ্ছিল এবং বুঝতে পারেনি কী ঘটছে। তাই উপস্থাপক যখন তাকে কল করলেন, সে শুধু বলেছিল ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে’,” হারুন জানান।
এই বিজয়ী টিকিটটি ১০ জনের একটি গ্রুপ একত্রে কিনেছিল। তারা সেপ্টেম্বর ড্র-এর জন্য মোট চারটি টিকিট ক্রয় করেছিল, যার মধ্যে ০৩৫৩৫০ নম্বর টিকিটটি, ১৪ সেপ্টেম্বর কেনা, ছিল বিজয়ী।
হারুন বলেন, “আমরা গত ছয় মাস ধরে প্রতি মাসেই অংশ নিচ্ছিলাম। আমি লাইভ শো দেখছিলাম এবং অন্য একটি টিকিট নম্বর জিতবে বলে ভাবছিলাম। আমি সেই নম্বরটি মুখস্থ করেছিলাম। কিন্তু এবার সৌভাগ্য এসেছে অন্য টিকিট থেকে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
হারুন বর্তমানে শারজাহর একটি স্থানীয় পরিবারের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন। তার সঙ্গে যারা টিকিট কিনেছিলেন, তাদের কেউ ছোট ব্যবসার মালিক, আবার কেউ অন্য সেক্টরে কর্মরত।
এই ভাগ্যবান দলের সদস্যরা, যাদের মাসিক আয় দেড় হাজার থেকে তিন হাজার দিরহামের মধ্যে, বলেছেন যে তারা এখনো ভাবছেন কীভাবে এই অর্থ সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
হারুন বলেন, “আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি কী করব, তবে আমরা টাকাটা বুদ্ধিমানের সঙ্গে ব্যবহার করতে চাই, যাতে এটি থেকে আরও আয় হয় এবং আমাদের জীবন টিকে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এখানে একটি ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছি এবং খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে আমার পরিবারকে নিয়ে আসার আশা করছি।”