যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বিরল ব্যবহৃত একটি বিধানে বলা আছে, কোনো কর্মকর্তা যদি ‘বিপ্লব বা বিদ্রোহে’ জড়িয়ে পড়েন তবে তাকে পদে থাকতে দেওয়া হবে না। ওই বিধানের ভিত্তিতে ক্যাপিটল দাঙ্গার জেরে কলোরাডোর সর্বোচ্চ আদালত আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। ফলে তিনি ওই রাজ্যে প্রাইমারি ভোটে অংশ নিতে পারবেন না।
কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের বিচারক বেঞ্চ মঙ্গলবার ৪-৩ এ রায় দেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হলেন। তবে কী ট্রাম্পের আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে।
যদিও এই রায় শুধু মাত্র আগামী বছরের ৫ মার্চ কলোরাডোতে হতে চলা রিপাবলিকান প্রাইমারিতে কার্যকর হবে। তবে এটা নিশ্চিত যে, তা অবশ্যই ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ট্রাম্পের ইমেজের উপর প্রভাব ফেলবে।
তবে ট্রাম্প এখনই হাল ছেড়ে দেননি। বরং জোর গলায় এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টও ট্রাম্পকে আপিল করার সময় দিয়েছেন।
কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ট্রাম্পকে আপিল করার সুযোগ দিতে মঙ্গলবারের রায় কার্যকর হওয়া অন্তত আগামী ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হবে।
এর অর্থ, ট্রাম্পের ভাগ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের হাতে। সাবেক এ প্রেসিডেন্ট আরো একবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতি। যাদের মধ্যে তিন জনের নিয়োগ দিয়েছেন খোদ ট্রাম্প। সেখানে ৬-৩ এ রক্ষণশীলরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
জেআই/
Discussion about this post