তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরাকের জনগণের মধ্যে নানা বিষয়ে ব্যাপক হতাশা-ক্ষোভ আছে। আছে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার। এর মধ্যেই দেশটির ভোটাররা প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন।
ইরাকে আজ সোমবার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক দশকের মধ্যে এই প্রথম দেশটিতে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে।
প্রাদেশিক পরিষদের এই নির্বাচন ইরাকের ইরানপন্থী শিয়া গোষ্ঠীগুলোকে শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরাকের ১৮টির মধ্যে ১৫টি প্রাদেশিক পরিষদে আজ ভোট হচ্ছে। বাকি তিনটিতে ভোট হচ্ছে না। এই তিনটি আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো পৃথক ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। এই তিন প্রাদেশিক পরিষদের বিষয়ে আগামী বছর সিদ্ধান্ত হবে।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে গত বছর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হন শিয়া আল-সুদানি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ইরাকের পার্লামেন্টের ইরান-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর বৃহত্তম জোটের সমর্থন পান।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সময় আজ সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু। ভোট গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।
৭ হাজার ১৬৬টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে। যোগ্য ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ।
শক্তিশালী এই প্রাদেশিক পরিষদগুলোর মোট আসন ২৮৫টি। মোট প্রার্থী প্রায় ৬ হাজার।
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট আগ্রাসন চালায়। এই আগ্রাসনে সাদ্দাম হোসেন সরকারের পতন ঘটে। সাদ্দাম-পরবর্তী ইরাকে প্রাদেশিক পরিষদ গঠিত হয়।
প্রাদেশিক পরিষদগুলোর হাতে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। তারা আঞ্চলিক গভর্নর নির্বাচন করে। তারা স্বাস্থ্য, পরিবহন ও শিক্ষা বাজেট বরাদ্দ করে।
জেআই/এএস
Discussion about this post