শাহজালাল বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে কয়েকটি পরিবহন কাউন্টার রয়েছে। এসব কাউন্টার থেকে রসিদ নিয়ে যাত্রীরা গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন। ফলে সে গাড়িতে কোনো কিছু হারিয়ে গেলে বা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে অভিযোগ করার সুযোগ থাকে। তবে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে কাউন্টার না থাকায় প্রায়ই অসাধু চক্রের পাল্লায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এসব গাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রসিদ বা ডকুমেন্ট থাকে না। ফলে গাড়িতে ভুলক্রমে কেউ মূল্যবান মালপত্র ফেলে গেলে বা হারালে, তা ফেরত পাওয়ার আশা থাকে না বললেই চলে। কোনো রসিদ না থাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে জবাবদিহি করে না। সেই সঙ্গে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তো আছেই।
সম্প্রতি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ফ্লাইট নামার পর যাত্রীরা বেরিয়ে এলেই তাদের ঘিরে ধরছেন পরিবহন সিন্ডিকেটের দালালরা। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিমানবন্দর পুলিশকেও হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুলিশ তাদের বারবার তাড়িয়ে দিলেও একটু পর আবারও হাজির হয়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি শুরু করছেন। অনুমোদিত কোনো পরিবহন না পেয়ে অনেক যাত্রীকেই দেখা যায় দালালের মাধ্যমে ভাড়া ঠিক করে তাদের গাড়িতে উঠতে।
যাত্রীরা জানান, প্রায় সময় দালালদের মিষ্টি কথায় বেশি ভাড়ায় তাদের গাড়িতে উঠতে বাধ্য হন তারা। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর যানজটসহ নানা অজুহাতে চালকরা আরও বেশি ভাড়া দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জিয়াউল হক বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন কাউন্টার বসানো হলে প্রতারণার শিকার থেকে রক্ষা পাবেন যাত্রীরা। কেননা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কোনো পরিবহন কাউন্টার থেকে গাড়ি ভাড়া করলে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছানোর পর প্রতারণার শিকার হলে চালককে জবাবদিহি করতে হবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের বেশির ভাগ যাত্রীই নিজেদের গাড়ি নিয়ে চলাচল করেন। এ ছাড়া তাদের তেমন কোনো মালপত্রও থাকে না। এ কারণে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল এলাকায় কোনো পরিবহন কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে বিমানবন্দর থেকে বহিরাগত কোনো গাড়িতে চড়ে যাত্রীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন– এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সমকাল
Discussion about this post