খেলা যে শেষ ওভারে গড়াবে, প্রথম ৫ ওভার শেষে ভাবেনি কেউ। তবে শেষ পর্যন্ত তাই হলো, ছড়িয়েছে বেশ রোমাঞ্চ। তবে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। বাংলাদেশ জিতে যায় ৫ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে।
এই জয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, চলতি বছরে খেলা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলোতেই জিতল টাইগাররা। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের পর এবার ধরাশায়ী হলো আফগানরা। এই নিয়ে শেষ আট টি-টোয়েন্টির সাতটিই জিতল সাকিব বাহিনী।
রোববার (১৬ জুলাই) সিলেটে ১৭ ওভার শেষে আফগানরা তুলেছিল ১১৬ রান। তবে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৯ রানে। ছোট লক্ষ্য, সহজ সমীকরণেও খেলাটা ক্রিকেট বলে কিছুটা শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা আর সমীকরণ একপাশে ছুঁড়ে ফেলতে থাকেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লের ৫ ওভারেই ৫০ রান তোলেন তারা।
আফগানদের চলতি সফরে বেশ ব্যর্থই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। পুরো ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ছিল একই গল্প। টপ অর্ডারের এমন ব্যর্থতায় কিছুটা হলেও চিন্তা ছিল সবার মাঝে। তবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কিছুটা হলেও কাটে এদিন। তবে পাওয়ার প্লের পর কমে যায় রানের গতি। পরের ৫ ওভারে আসে মাত্র ১৮ রান।
লিটনের সাথে আজ ইনিংস উদ্বোধন করেন আফিফ। এর আগে বিপিএলে দুজনকে এই ভূমিকায় দেখা গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম। দুজনেই ফিরেন একই ওভারে, এক বল আগে-পরে। ৬৭ রানে ভাঙে তাদের জুটি।
চাপ বাড়িয়ে দিয়ে আউট হয়েছেন দু’জনে। প্রথমে মুজিবের অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে রশিদ খানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিটন। ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এক বল পর আফিফ স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন। ২০ বলে ২৪ রান আসে তার ব্যাটে।
পরের ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন ওমরজাই। আউট হন ৬ বলে ৪ রান করে। ২ ওভারের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। দলীয় সংগ্রহ ১২ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৯। পরের ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। মাঠে তখন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।
ঝেঁকে বসা চাপ মুজিবের ওপর দিয়ে ছাড়লেন সাকিব-হৃদয় মিলে। তার ওভারে ১২ রান নিলেন দুজনে। সাকিব ছাড়লেন না পরের ওভারে আসা রশিদ খানকেও, দারুণ এক ছক্কা মেরে বসলে তার বলে। ছক্কা মারার লোভ হলো হৃদয়েরও, ওমরজাইয়ের বল ছুড়ে ফেলেন সীমানার ওপারে। তবে পরের বলেই ফিরতে হলো তাকে, আউট হন ১৭ বলে ১৯ করে।
১৫ বলে প্রয়োজন ১২ রান। শামিমকে সঙ্গী করে তা অনায়াসেই পাড়ি দেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ১১ বলে ১৮ ও শামিম অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৭ রানে।
Discussion about this post