বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এসেছেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে এসেছেন কয়েকজন ব্যক্তিগত স্টাফও। সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫ টা ১০মিনিটে আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসেছেন মার্টিনেজ। এর আগে আমস্টারডাম থেকে স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানে উঠেন মার্টিনেজ। তিনি বাংলাদেশে থাকবেন ১১ ঘণ্টার মতো। এরপর বিকেলে কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সংক্ষিপ্ত এ সফরে মার্টিনেজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এদিন দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মার্টিনেজ ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
মার্টিনেজকে ঢাকায় আতিথেয়তা দিচ্ছে ডিজিটাল বিজনেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নেক্সট ভেঞ্চার। যদিও ঢাকায় আসার জন্য কোনো সম্মানী নিচ্ছেন না তিনি। শুধু বিমান ভাড়া এবং হোটেলে বিশ্রাম নেওয়ার খরচ বহন করবে নেক্সট ভেঞ্চার।
নেদারল্যান্ডস থেকে ঢাকায় পা রাখার পর কিছুক্ষণ হোটেলে বিশ্রাম নেবেন মার্টিনেজ। এরপর নেক্সট ভেঞ্চারের কার্যালয় প্রদর্শন করবেন। সেখানে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও দেখা হবে বিশ্বকাপজয়ী এ গোলরক্ষকের। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেক্সট ভেঞ্চারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মাশরাফি নিজেও আর্জেন্টিনা ফুটবলের ভক্ত, কিন্তু মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাতে বেশি খুশি হবে তার মেয়ে, ‘আমার মেয়ে (হুমায়রা) আর্জেন্টিনার সমর্থক। সে মার্টিনেজকে দেখতে পারলে খুশিই হবে। যদি সে যেতে চায়, তাহলে তাকে নিয়ে যাব।’ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এ অধিনায়ক ছাড়াও নেক্সট ভেঞ্চারের অনুষ্ঠানে থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঢাকা সফর শেষে সোমবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ভারতের বিমান ধরবেন মার্টিনেজ। সেখানে ৪ ও ৫ জুলাই একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। ৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টায় কলকাতার বিখ্যাত ক্লাব মোহনবাগানে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। যে কারণে ওই ম্যাচের টিকিট ছাড়ার ২ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
মার্টিনেজের মূল সফরটা ভারতেই। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থক থাকায় নিজ আগ্রহে এখানে আসা তার। যে আগ্রহের কথা গত মে মাসে নিজের ফেসবুক পেজে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন। আর মার্টিনেজকে কলকাতা ও ঢাকায় আনার উদ্যোগটা নেন ভারতীয় স্পোর্টস প্রমোটর কোম্পানি শতদ্রু দত্ত অ্যাসোসিয়েটসের মালিক শতদ্রু দত্ত।
Discussion about this post