একসঙ্গে হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল হালিমা ও আব্দুল হামিদ দম্পতির। সে অনুযায়ী সব কাজ শেষ করেছেন তারা। আগামী ১৫ জুন ছিল তাদের ফ্লাইট। তাই রোববার শিক্ষা অফিসে এসে সবার দোয়া নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু পথেই বাসের ধাক্কায় মারা যান স্বামী। গুরুতর আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হালিমা খাতুন।
রোববার বিকেলে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাকশাইর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হামিদ আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহত হালিমা খাতুন আন্দিউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলে মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী । এ সময় বাকশাইর রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আব্দুল হামিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত অবস্থায় হালিমা খাতুনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, এবার হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। আগামী ১৫ জুন তাদের ফ্লাইট। রোববার শিক্ষা অফিসে এসে সবার দোয়া নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
Discussion about this post