ঈদ আমেজের শুভ্র ভাব ছড়াতে শুরু করে বাঁকা চাঁদ আকাশে উঠতে না উঠতেই। রোজার এক মাস পর আসে আনন্দের কাঙ্ক্ষিত ‘ঈদুল ফিতর’। ঈদ মানেই আনন্দ তবে পরিবার, পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলে ঈদের উল্লাস আরো গাঢ় হয়ে ওঠে।প্রবাসীদের জীবনে এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা । প্রবাসে বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ পুরোপুরি থাকে না- তবুও সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের, কোলাকুলি, খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে ব্যস্ত থাকতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)’তে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৫ মিনিটে দুবাই ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আরব আমিরাতে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে।
সূর্য উঠার আগেই বিশাল ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বেশীর ভাগ মুসল্লি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়। জামায়াত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
নামাজ শেষ হতে মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়। বাসায় ফিরে আরব দেশের প্রধান খাদ্য খেজুর, পায়েস, বিরিয়ানি-পোলাও ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খান সবাই।একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল থেকে শুরু হয় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ানো।
চট্টগ্রাম প্রবাসী সায়েম জানান,প্রবাসীদের ঈদ মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈদগাহে নামাজ পড়া, নামাজ পড়ে বাসায় এসে কোলাকুলি করে ঘুমানো পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সময় পার করা। দেশের মতো আনন্দটা তেমন নেই বললেই চলে।ঈদের নামাজ শেষে দেশে ফোন করার পর বুকের ভেতর কষ্টের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। বুকফাটা যন্ত্রণাকে বুকে নিয়ে বিছানায় গিয়ে চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করি।
প্রবাসী আব্দুর রহিম জানান,আসলে প্রবাসীদের ঈদের দিনগুলোকে অন্যান্য দিনগুলোর সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন।কারণ অনেক প্রবাসীকেই ঈদের দিনও তাদের নির্ধারিত ডিউটি করতে হয়। প্রবাসে ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর ঈদের দিনগুলোর কথা। তারপরও আমরা আমাদের মত করে ঈদের আনন্দকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার চেষ্টা করি।
Discussion about this post