দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন দুদকের সাবেক কমিশনার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেন। প্রেসিডেন্ট পদে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়নপত্র আজ নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি। সংসদ ভবনে ভোট গ্রহণ হবে ১৯শে ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে একক প্রার্থী হলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনেই একক প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
সংবিধান অনুয়াযী, রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪শে এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩শে এপ্রিল শেষ হবে।
১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হন তিনি। এইচটি ইমামের মৃত্যুর পর তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়
Discussion about this post