পরপর দুটি বড় ধরনের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। বহুতল ভবন ধ্বসে চাপা পড়ে আছেন আরও বহু মানুষ। দেশ দুটির হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে ঢেউয়ের মতো আহতরা ভর্তি হচ্ছেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কে সর্বশেষ ১ হাজার ৪৯৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পরপর দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাতে মারা গেছে ৭৮৩ জন।
বিবিসি বলছে, তুরস্কে ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। দেশটিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। বিকেলে আরেকটি ভূমিকম্প হয় রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ৫ মাত্রায়। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪০টি স্বল্পমাত্রার ভূকম্পন হয়েছে।
কম্পন টের পাওয়া গেছে লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলেও। সিরিয়ায় ভোরে হওয়া ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৮৩ জন।
দুই দেশে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। এ দেশটিতেই কেবল নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। সংস্থাটি বলেছে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে এক লাখেও পৌঁছে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে ১ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের।
তুরস্কে শীতকালীন তুষার ঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্তদের উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
ভূমিকম্পে সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, তারতুস প্রদেশে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, গাজিয়ানটেপ, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্যা, শানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির, কিলিস শহরে। এসব এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে হাতায় প্রদেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো। মারাস ও আন্তেপের বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।
ভূমিকম্পের ঘটনায় টুইট করে ভুক্তভোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অনুমান করা যাচ্ছে না। আশা করছি দ্রুত সম্ভব আমরা কম ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্যোগটি একসঙ্গে কাটিয়ে উঠবো। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য ইউনিট সতর্ক রয়েছে।
Discussion about this post