বিপিএল তার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে না পারলেও বিপিএলে যে সাকিব আল হাসানই সেরা, তা সবারই জানা। তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ বা লিটন দাসেও অনেকে রেখেছিলেন ভরসা। তরুণদের মাঝেও খোঁজা হচ্ছিল সম্ভাবনা, হয়তো আরো অনেককে ঘিরেই বিস্তৃত ছিল ধারণা; তবে সেখানে কি আপনি নাসির হোসেনকে রেখেছিলেন? উত্ততে হয়তো অধিকাংশেরই ‘না’ আসবে, ফলে বলাই যায় এবারের বিপিএলের বড় বিস্ময় নাসির হোসেন।
বিপিএল শুরুর আগের দিন ঢাকার ডমিনেটর্সের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় নাসির হোসেনের নাম। সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে হাস্যরসের ঝড়, যা দেখা যায় সংবাদ সম্মেলনেও। সরাসরি প্রশ্ন উঠে, আগের আসরে দল না পেয়েও এবার সরাসরি নেতৃত্ব দেয়া নিয়ে।
সফলতার থেকে বড় প্রতিশোধ আর কী হতে পারে? নাসির হোসেনও হয়তো তা ভেবেই শান্ত রেখেছিলেন নিজেকে। কত বিদ্রুপ, কত টিপ্পনী, কত সমালোচনা; সোশাল মিডিয়া থেকে পাড়া-পড়শী, কতজনের কত কথা। তবে সব সমালোচনার জবাব যেন মাঠেই দিচ্ছেন নাসির, নিন্দার জবাব বিপিএলে। ভাবনার বাইরে থেকে এসেও বাহবা কুড়াচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
রাজধানীর দলটাকে নেতৃত্ব দিয়ে খুব একটা সফল না হলেও ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে নাসির। একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে বিপিএলে টানা ৬ ইনিংসে ত্রিশোর্ধ্ব রান করেছেন তিনি। সেই সাথে এখন পর্যন্ত সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুইয়ে, ২৬৯ রান নিয়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন এক নম্বরে থাকা সাকিবের ঘাড়ে। গড়টা আকাশসম, ৯০। স্ট্রাইকরেটও অন্যদের তুলনায় ঈর্ষণীয়, ১৩২।
একই সাথে সাত উইকেট নিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও নাসির। সেই সাথে আসর সেরা হবার দৌড়েও সাকিবকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন নাসির। শুধু চ্যালেঞ্জই না, বলা যায় এখন পর্যন্ত নাসিরই এগিয়ে আছেন। দল ভালো করলে হয়তো খুলে যাবে নাসিরের সম্ভাবনার দুয়ার। সেই সাথে নাসির যেন হয়ে উঠলেন হতাশাগ্রস্তদের উপমা, আগের আসরে দল না পাওয়া ক্রিকেটারই তো এবার সবার থেকে এগিয়ে, সেরা হবার পথে।
Discussion about this post