গোটা বিশ্বেই বিভিন্ন আকারের এবং বিভিন্ন আয়তনের বিমান দেখতে পাওয়া যায়-যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু তিমির মতো বিশাল সামুদ্রিক প্রাণীর আদলে তৈরি এক বিমান সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে। তিমির মুখের মতই বিমানের সামনের দিকটা সরু এবং পেটটাও যথারীতি ফোলা। স্বভাবতই তিমির আদলেই তৈরি করা বিশালাকার এই বিমান ‘বেলুগা’র রূপও নজর কেড়েছে যাত্রীদের। রবিবার কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ‘বেলুগা’কে দেখতে ছিল উৎসুক মানুষের হুড়োহুড়ি।
বেলুগা নামে এক প্রজাতির তিমির আদলেই তৈরি করা হয়েছে এর বিমানটি। এটি মূলত দেশ-বিদেশের মালপত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্য মালবাহী বিমানের চেয়ে আকারে এটি অনেকটাই বড়। ইউরোপ এবং পশ্চিম দুনিয়ায় বেলুগার নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও ভারতে নেই।
বেলুগা যখন আকাশে ওড়ে দেখে মনে হয় একটা আস্ত তিমি উড়ছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরের নামে। উদ্দেশ্য জ্বালানি সরবরাহ করা এবং বিমান কর্মীদের বিশ্রাম। রবিবার সারাদিন কলকাতা বিমানবন্দরেই ছিল এই বেলুগা।
এদিন বিমানবন্দরের কর্মীদের পাশাপাশি যাত্রীরা সারাদিন অভিনব এই বিমান দেখার সুযোগ পান। তাদের অনেকেই কেউ বিমানটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, কেউ আবার সেলফিও তুলেছেন।
জানা গেছে, বিশেষ কারণে আহমেদাবাদ থেকে কলকাতায় আসে এই বিমানটি। শনিবার দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে ‘আকাশ তিমি’। পরে রাত নয়টা নাগাদ থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়।
কলকাতা বিমানবন্দরের তরফেও টুইট করে বেলুগার কথা জানানো হয়। সেখানে লেখা হয় ‘বলুন তো কে এসেছে! এটা তিমি মাছ! পৃথিবীর বৃহত্তম বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম বেলুগা। কর্মীদের বিশ্রাম এবং জ্বালানির সরবরাহের জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছে’।
Discussion about this post