নীলফামারীর ডিমলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে অংশ নিয়েছেন মা ও মেয়ে। মেয়ে শাহী সিদ্দিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং মারুফা আকতার একই কলেজের বিএম শাখা থেকে পরীক্ষায় বসেছেন। মা ও মেয়ে দুজন ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিগত ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে অংশ নিয়ে মেয়ের চেয়ে ভালো ফলাফল করেন মা মারুফা আকতার।
তিনি এসএসসিতে জিপিএ-৪.৬০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন এবং তাঁর মেয়ে শাহী সিদ্দিকা পেয়েছিলেন জিপিএ-৩।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মারুফা আক্তারের বাবার বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা গ্রামে। বিয়ে হয় একই উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পুন্যারঝার গ্রামের সাইদুল ইসলামের সঙ্গ.নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন মাধ্যমিক। এবার বসেছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়।নতুন করে পড়াশোনা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে মারুফা আক্তার জানান, নিজের ইচ্ছা ও স্বামী-সন্তানদের অনুপ্রেরণায় নবম শ্রেণি থেকে আবার পড়াশোনা শুরু করেন তিনি।
ভর্তি হন ছোটখাতা ফাজিল মাদরাসায়। সেই সময় তাঁর মেয়েও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এরপর ২০২০ সালে মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন তিনি। মারুফা আকতার বলেন, সমাজের আর ১০টা মানুষের মতো আমিও যেন একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে পারি, সে জন্য কষ্ট করে পড়াশোনাটা আবার শুরু করেছি। ইচ্ছে আছে এইচএসসি পাস করে দেশের ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। স্থানীয় সুধীজন জানান, পড়াশোনায় বয়স কোনো বিষয় নয়। মা ও মেয়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনেকে ভালো চোখে দেখছেন।
সাইদুল ইসলাম পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে শাহী সিদ্দিকা বড়। দ্বিতীয় ছেলে দশম শ্রেণিতে, তৃতীয় মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।২০০৩ সালে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় মারুফার। এরপর থেমে যায় তাঁর লেখাপড়া। পরপর চার সন্তানকে মানুষ করতে কেটে যায় ১৫ বছর। তবে লেখাপড়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছে তাঁর রয়েই যায়। সেটিরই প্রতিফলন ঘটে নিজের সুপ্ত ইচ্ছে শক্তির জোরে।
নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন মাধ্যমিক। এবার বসেছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়।নতুন করে পড়াশোনা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে মারুফা আক্তার জানান, নিজের ইচ্ছা ও স্বামী-সন্তানদের অনুপ্রেরণায় নবম শ্রেণি থেকে আবার পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ভর্তি হন ছোটখাতা ফাজিল মাদরাসায়। সেই সময় তাঁর মেয়েও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এরপর ২০২০ সালে মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন তিনি।
মারুফা আকতার বলেন, সমাজের আর ১০টা মানুষের মতো আমিও যেন একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে পারি, সে জন্য কষ্ট করে পড়াশোনাটা আবার শুরু করেছি। ইচ্ছে আছে এইচএসসি পাস করে দেশের ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। স্থানীয় সুধীজন জানান, পড়াশোনায় বয়স কোনো বিষয় নয়। মা ও মেয়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনেকে ভালো চোখে দেখছেন।
Discussion about this post