একই ছাদের নিচে ছিলেন ৭৩ বছর। তাঁদের দাম্পত্যজীবন ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। মৃত্যুর পর কীভাবে তাঁরা দুই জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারেন? এ কারণে তাঁদের দু’জনকে পাশাপাশি সমাহিত করা হবে।
কথা হচ্ছিল প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপ ও তাঁর সদ্য প্রয়াত স্ত্রী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে। গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মারা যান ব্রিটেনের রানী। তাঁর মৃত্যুর ১৭ মাস আগে ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। এ জুটিকে এবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় একসঙ্গে কবর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ফিলিপের প্রায় দেড় বছরের অপেক্ষার ইতি ঘটছে।
প্রিন্স ফিলিপ মারা যাওয়ার পরই তাঁদের সমাহিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা উন্মোচিত হয়। তখনই নির্ধারণ করা হয়- কোথায়, কীভাবে তাঁকে কবর দেওয়া হবে। গত বছর ৯৯ বছর বয়সে প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর শোক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তাঁর ৯৫ বছর বয়সী স্ত্রী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। করোনা মহামারির কারণে পুরো যুক্তরাজ্যে তখন কঠোর বিধিনিষেধ। মৃত্যুর তিন বছর আগেই রাজকীয় কর্মকাণ্ড থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ফিলিপ। তাঁর কফিন প্রথমে উইন্ডসর ক্যাসলের এসটি জর্জ চ্যাপেলে নেওয়া হয়। সেখানে পরিবার ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্মান প্রদর্শন করেন।
জানা যায়, মৃত্যুর আগেই ফিলিপ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের বিষয়টি বারণ করে গিয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের জাঁকজমকের প্রতি অনিচ্ছার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন। এ কারণে অনাড়ম্বর আয়োজনের পর প্রিন্স ফিলিপের মরদেহ নেওয়া হয় এসটি জর্জ চ্যাপেলের রয়্যাল হিমঘরে। ১৭ মাস ধরে সেখানেই রানীর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল তাঁর কফিন। এবার রানীর মৃত্যু হওয়ায় দু’জনকে একসঙ্গে সমাহিত করা হবে।

























