বিদেশ নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই মামলা করেছে আদম ব্যবসায়ী। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক আদম ব্যবসায়ীর মিথ্যা প্রতারণার মামলায় প্রবাসী ও তার পরিবার হয়রানির স্বীকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে লক্ষাদিক টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগী হাবিবউল্লাহ(২৮) কে কাতারে নিয়ে যায়- প্রতারক আনোয়ার হোসেন(৫২)।
কিন্তু কাতারের মাটিতে পা রাখতেই শুরু হলো মানবেতর জীবনযাপন। ভুক্তভোগীর বাবা জানায়, কাতারে যাওয়ার পর ১ মাস নিখোঁজ হয়ে যায় আমার ছেলে। এদিকে ছেলের সন্ধানের জন্য তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁর স্ত্রী পেয়ারা মেম্বার এবং তাঁর ছেলে ফারুক হোসেন বলেন, আমরা নিয়েছি আমাদের দায়িত্ব শেষ। পারলে কিছু করেন। অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি।
১ মাস পর ফোন আসে ছেলের; বলেন অসহায়ত্বের কথা। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ না করে কিভাবে দেশে ফিরবেন! সেই চিন্তায় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায় ভুক্তভোগী হাবিবউল্লাহ। এভাবে কেটে যায় ১৭ মাস। এর মাঝে প্রতারক আনোয়ার হোসেনের নতুন ফন্দি করে হাবিব উল্লাহর পিতাকে ফোন করে বলেন, আবারো ১লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে তবেই বৈধ হয়ে যাবে হাবিব উল্লাহ। এতে করে আবারো ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক আনোয়ার হোসেন। একসপ্তাহ পরে ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়ে বলেন দালাল টাকা খেয়ে ফেলছে। এই বলে দেশে চলে আসেন প্রতারক আনোয়ার হোসেন।
তার ভাই জানান ২০১৮ সালের ১৩ ই অক্টোবর এবিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করলে, হাজীগঞ্জ থানায় বিষয়টি নিয়ে বসা হয় এবং প্রতারক আনোয়ার হোসেন অর্থ ফেরত দিবে মর্মে একটি অঙ্গীকার নামা দেয় এবং মামলা না করতে বলে। পরবর্তীতে ১৭-১০-২০১৮ইং সনে পূণরায় বসার তারিখ হলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। অবশেষে ২০২২ সালে প্রতারক আনোয়ার হোসেন ৪০/৫০ হাজার টাকায় বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে; ০৭-০৫-২০২২ সালের সাজানো ঘটনা উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং আদালতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে ভুক্তভোগী হাবিবউল্লাহর পরিবারকে।
এতে করে আর্থিক এবং পারিবারিক ভাবে বিপদের সম্মুখীন পরিবারটি।
ভুক্তভোগী হাবিবউল্লাহ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ ৬নং ওয়ার্ডে ইমাম হাজী বাড়ীর বাসিন্দা। প্রতারক আনোয়ার হোসেন একই উপজেলার বেলঘর গ্রামের মোল্লা বাড়ির সেকান্দর আলীর ছেলে। জানা যায়, ওই প্রতারক এবং তাঁর স্ত্রী পেয়ারা মেম্বার একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। তাঁরা এভাবে অনেককের সাথে প্রতারিত করেছেন।
Discussion about this post