ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেল রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছেন দেশটির কৃষকরা। সরকারের ওই সিদ্ধান্তে রোজগার অর্ধেকে নেমে গেছে অভিযোগে মঙ্গলবার (১৭ মে) রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত কৃষক। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গত ২৮ এপ্রিল পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে বিশ্বের শীর্ষ পাম উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি দামও বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। তবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পাম চাষিরা। সেখানে পাম ফলের দাম নেমে গেছে প্রায় অর্ধেকে।
ভোজ্যতেলের বাজারে ইন্দোনেশিয়ার অনুপস্থিতির সুযোগে সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মালয়েশিয়া। তাতে লাভবানও হচ্ছে দেশটি। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার দেখা গেছে। তার একটিতে লেখা ছিল, ‘মালয়েশীয় কৃষকদের মুখে বড় হাসি, ইন্দোনেশীয় কৃষকরা দুর্ভোগে’।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের সংগঠন আপকাসিনদো বলেছে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর পাম ফলের দাম আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৭০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীন কৃষকরা সাধারণত ভিত্তিমূল্যের নিশ্চয়তা পান না। এটি নির্ধারিত হয় কারখানা ও বড় মাপের সমিতিগুলোর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে।
আপকাসিনদোর হিসাবে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ইন্দোনেশিয়ার অন্তত ২৫ শতাংশ পাম তেল কারখানা স্বাধীন কৃষকদের কাছ থেকে পাম কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যার অর্থ, কারখানার ট্যাংকিগুলো হয়তো পূরণ হয়ে রয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার অন্য ২২টি প্রদেশেও একইভাবে বিক্ষোভে নামবেন পাম চাষিরা।
Discussion about this post