সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আজ (২ মে) সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। সৌদি আরবে আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ৩০ রোজা শেষ করে আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি।
সোমবার সকাল ৯টায় সাদ্রা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন এলাকাতেও ঈদের জামাত হবে।
জানা গেছে, সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। সাদ্রা ছাড়াও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী জানান, মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন। ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করেন। দেশ ও জাতীর কল্যানে দোয়া করা হয়।
Discussion about this post